আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’। ঢাকার রিকশা ও রিকশা পেইন্টিং জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এমন খবরের মধ্যেই নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী জানালেন, তাঁর নির্মিত সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’ আগামী বছরই বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়ে দেখতে চান।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অমিতাভ রেজা “রিকশা গার্ল” সিনেমার একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’। আমাদের ছবি সেই রিকশাচিত্র নিয়ে, আগামী বছর দেখতে পারব বাংলাদেশের সিনেমা হলে।”
ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের উপন্যাস থেকে “রিকশা গার্ল” নির্মাণ করেছেন অমিতাভ রেজা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার ঝুলিতে ভরেছে সিনেমাটি। ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনে প্রদর্শনী ছিল রিকশা গার্লের।
“নাইমা” নামে এক কিশোরীর জীবনযুদ্ধ ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এ ছবির গল্প। শিল্পী নভেরা রহমান সিনেমায় নাইমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসিফ ফারুক আমিন ও শর্বরী জোহরা আহমেদ।
বিয়ে বাড়ির দৃশ্য দিয়ে সিনেমা শুরু হলেও গল্পটা এগোতে থাকে বিয়ে বাড়িতে ২০০ টাকা মজুরিতে আল্পনা আঁকতে আসা নাইমাকে ঘিরে। এক রিকশাচালক বাবার বড় মেয়ে নাইমা। শারীরিক অসুস্থতা ও রিকশা মালিকের জমার টাকার চাপ যাকে যাঁতাকলে পিষ্ট করে ফেললেও মেয়েকে “আঁকাআকির” শক্তি জোগান তিনি।
আঁকাআঁকি! রিকশাচালকের মেয়ে নাইমার নিজস্ব এক জগৎ। উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে বাবার রিকশা, বাড়ির ধসে যাওয়া দেওয়াল, টিনের চাল যার ক্যানভাস। যার দুরন্তপনা আর সরলতার আড়ালে লুকিয়ে আছে প্রতিবাদী রূপ। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার জেদ।
বাংলাদেশে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা “রিকশা গার্ল” অমিতাভ রেজার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। অমিতাভ রেজা বলেন, “চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হচ্ছে ছবিটির ইংরেজি ভার্সন। আর দেশের জন্য তৈরি করেছি বাংলায়। ছবিটি দেশের মানুষকে দেখাতে চাই।”